শহীদ জিয়া এবং বাংলাদেশ (২)
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক
☞ জিয়াউর রহমানের আন্তর্জাতিক সাফল্যের টুকিটাকি
#
তারিখ
বিস্তারিত
১.
১৯৭৬ সালে বাংলাদেশ-নেপালের মধ্যে ট্রানজিট চুক্তি
জিয়াউর রহমানের আমলে বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে ট্রানজিট চুক্তি হয় যার ফলে নেপাল বাংলাদেশের মংলা বন্দর ব্যবহার করে ভারতের উপর দিয়ে পণ্য আমদানি করবে। ওই চুক্তিতে বাংলাদেশের “বিরল” ও নেপালের রাধিকাপুর সহ ট্রানজিট পয়েন্ট হিসাবে ৬ টি রুট কে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল।এতে নেপালের পণ্য পরিবহনের ব্যয় কমার পাশাপাশি মংলা বন্দর ব্যবহারের চার্জ ও মাশুল ছাড়াও বাংলাদেশের ট্রানজিট পয়েন্ট অর্থাৎ “বিরল” পর্যন্ত দেশীয় যান ব্যবহার করে নেপালি পণ্য পরিবহন
২.
১৯৭৭ সালে বিদেশী বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্য বহুপাক্ষিক চুক্তি
বিদেশী বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্য জিয়াউর রহমান-ই প্রথম ১৯৭৭ সালে ILO Tripartite Declaration on Multinational Enterprises বহুপাক্ষিক চুক্তি সাক্ষর করেন। বিদেশী বিনিয়োগকারীদের তাদের বিনিয়োগে স্বস্তি প্রদানের ক্ষেত্রে এই চুক্তি ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রথম ধাপ সূত্র: বিডা হ্যান্ডবুক
৩.
ডিসেম্বর, ১৯৭৭ সালে ভারতের সাথে ফারাক্কা চুক্তি স্বাক্ষরিত
প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আমলেই প্রথম ভারতের সাথে ফারাক্কা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় । ঢাকায় ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে ৫ বছরের জন্য ফারাক্কা পানি চুক্তি সাক্ষরিত হয় । বিগত ২৫ বছর ধরে এই বিষয়টি নিয়ে দু’দেশের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিলো। ভারতে মোরারজি দেশাই ক্ষমতার আসার পর শহীদ জিয়ার শক্তিশালী কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় বিশেষজ্ঞ ও মন্ত্রিসভা স্তরে একাধিক বৈঠকের পর ফারাক্কায় গঙ্গার পানি ভাগাভাগির বিষয়ে গ্যারান্টি ক্লজ সম্বলিত একটি পাঁচ বছরের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল ১৯৭৭ সালের ডিসেম্বরে। তাছাড়া মোরারজি দেশাই যখন ১৯৭৯ সালের এপ্রিলের ১৬-১৮ তারিখে বাংলাদেশ সফর করেন তখন দুই দেশ ওই সময় বাংলাদেশের জন্য গঙ্গা থেকে সেচের জন্য পানি বরাদ্দ সংক্রান্ত একটি যৌথ নদী কমিশন গঠনের বিষয়ে একমত হয়েছিল।
৪.
১৯৭৭ সালে সার্ক (SAARC) গঠনের উদ্যোগ
রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান দক্ষিণ এশিয়ার দেশসমূহের নেতাদের কাছে এই অঞ্চলের ভবিষ্যতের জন্য তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি একটি সরকারি চিঠির মাধ্যমে উপস্থাপন করেছিলেন। ১৯৭৭ সালের ডিসেম্বরে ভারত সফরকালে জিয়াউর রহমান ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোরারজি দেশাইয়ের সাথে আঞ্চলিক সহযোগিতার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন। আফগানিস্তানে USSR এর হস্তক্ষেপের পরে ১৯৭৯ সালে এই সহযোগীতা সংস্থা প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা ত্বরান্বিত হয় এবং ফলস্বরূপ দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি ঘটে। জিয়াউর রহমানের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে ১৯৮১ সালের এপ্রিল মাসে সাত দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা প্রথমবারের মতো কলম্বোতে বৈঠক করেন বাংলাদেশের প্রস্তাবটি তাত্ক্ষণিকভাবে নেপাল, শ্রীলঙ্কা, ভুটান এবং মালদ্বীপ গ্রহণ করেছিল তবে ভারত ও পাকিস্তান প্রথমে সন্দেহজনক ছিল।
ভারতীয় উদ্বেগটি দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা সম্পর্কিত বিষয়গুলির প্রস্তাবের রেফারেন্স ছিল এবং আশঙ্কা করেছিল যে আঞ্চলিক সংস্থার জন্য জিয়াউর রহমানের প্রস্তাবটি ছোট প্রতিবেশীদের সমস্ত দ্বিপক্ষীয় বিষয়কে নতুন করে আন্তর্জাতিক করার এবং একে অপরের সাথে ভারতের বিরোধীতা তৈরির সুযোগ দেওয়ার সুযোগ দিতে পারে ।
পাকিস্তান ধরে নিয়েছিল যে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলিকে সংগঠিত করা এবং ভারতীয় পণ্যগুলির জন্য একটি আঞ্চলিক বাজার নিশ্চিত করার এটি
ভারতীয় একটি কৌশল হতে পারে, যার ফলে এই অঞ্চলে ভারতের অর্থনৈতিক আধিপত্যকে সুসংহত ও আরও জোরদার করা হবে। তবে ১৯৭৯ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত নিউ ইয়র্কের জাতিসংঘ সদর দফতরে দক্ষিণ এশীয় জাতিসংঘের প্রতিনিধিদের মধ্যে বাংলাদেশের নেতৃত্বে একাধিক কূটনৈ
তিক পরামর্শের পরে একমত হয়েছিল যে পররাষ্ট্র সচিবদের মধ্যে আলোচনার জন্য বাংলাদেশ একটি কার্যপত্রকের খসড়া প্রস্তুত করবে। সেই মোতাবেক কাজ হলেও রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর এর গতি একটি কমে যায়। তারপরেও দক্ষিণ এশিয়ার দেশসমূহ সাতটি দেশের পররাষ্ট্র সচিবরা ১৯৮১ সালের সেপ্টেম্বরে আবার কলম্বোতে আলোচনা করে দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক সহযোগিতার জন্য
পাঁচটি বিস্তৃত অঞ্চল চিহ্নিত করেছিল এবং পরবর্তীতে আরো আলোচনার পর এগুতে এগুতে ১৯৮৫ সালের ৭-৮ ডিসেম্বর ঢাকায় এক সম্মেলনের মধ্য দিয়ে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়ার রহমানের স্বপ্ন দক্ষিণ এশিয়া আঞ্চলিক সহযোগীতা সংস্থা -(South Asian Association for Regional C0-0peration – SAARC) বা সার্ক আনুষ্ঠানিকভাবে এর যাত্রা
৫.
১৯৭৭ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল এর সদস্য হয়
বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল এর সদস্য হয় । ১৯৭৬ সালে ঘরোয়া মৌসুম শেষ হওয়ার পরে বাংলাদেশ ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি
রেজা-এ-করিম বিসিসিবির প্রথম সংবিধানের খসড়া তৈরি করেন এবং ১৯৭৬ সালের মে মাসে ইংল্যান্ডের ম্যারিলবন ক্রিকেট ক্লাব (এমসিসি) কে বাংলাদেশে আমন্ত্রণ জানান।
এমসিসি ১৯৭৬ সালের ২৭ ডিসেম্বর তাদের প্রথম বাংলাদেশ সফরে ঢাকায় পৌঁছে।
১৯৭৭ সালের ৭ জানুয়ারী জিয়াউর রহমানের আমলে বাংলাদেশে ক্রিকেটের জন্ম হয় বলা চলে কারণ ঐদিনই বাংলাদেশ মেরিলবোর্ন ক্রিকেট ক্লাবের (এমসিসি) বিপক্ষে প্রথম ক্রি
কেট খেলতে নামে। প্রয়াত শামীম কবীর ছিলেন এর অধিনায়ক এবং রকিবুল হাসান ছিলেন সহ-অধিনায়ক। ২৬ জুলাই, ১৯৭৭ বাংলাদেশ আই.সি.সি. এর সহযোগী সদস্য হন। তখন বাংলাদেশ ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিবি) ম্যারিলবন ক্রিকেট ক্লাব (এমসিসির) কাছ থেকে কোচিংয়ের সহায়তা চায়।
এমসিসি তখন রবার্ট জোন্স নামে প্রথম বিদেশী একজন ইংরেজ ক্রিকেট কোচ কে বাংলাদেশ পাঠায়।
তাছাড়া, ১৯৭৯ সালে জিয়াউর রহমানের সময়ে বাংলাদেশ প্রথম আইসিসি ট্রফি খেলে। প্রেসিডেন্ট জিয়া ক্রিকেটের এই শুরুটাকে খুব গুরুত্ব সহকারে সহায়তা করেছিলেন।
☞ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে জিয়াউর রহমানের সফর
#
তারিখ
বিস্তারিত
১.
১৯৭৬ সালে বাংলাদেশ-নেপালের মধ্যে ট্রানজিট চুক্তি
জিয়াউর রহমানের আমলে বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে ট্রানজিট চুক্তি হয় যার ফলে নেপাল বাংলাদেশের মংলা বন্দর ব্যবহার করে ভারতের উপর দিয়ে পণ্য আমদানি করবে। ওই চুক্তিতে বাংলাদেশের “বিরল” ও নেপালের রাধিকাপুর সহ ট্রানজিট পয়েন্ট হিসাবে ৬ টি রুট কে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল।এতে নেপালের পণ্য পরিবহনের ব্যয় কমার পাশাপাশি মংলা বন্দর ব্যবহারের চার্জ ও মাশুল ছাড়াও বাংলাদেশের ট্রানজিট পয়েন্ট অর্থাৎ “বিরল” পর্যন্ত দেশীয় যান ব্যবহার করে নেপালি পণ্য পরিবহন
২.
১৯৭৭ সালে বিদেশী বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্য বহুপাক্ষিক চুক্তি
বিদেশী বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্য জিয়াউর রহমান-ই প্রথম ১৯৭৭ সালে ILO Tripartite Declaration on Multinational Enterprises বহুপাক্ষিক চুক্তি সাক্ষর করেন। বিদেশী বিনিয়োগকারীদের তাদের বিনিয়োগে স্বস্তি প্রদানের ক্ষেত্রে এই চুক্তি ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রথম ধাপ সূত্র: বিডা হ্যান্ডবুক
৩.
ডিসেম্বর, ১৯৭৭ সালে ভারতের সাথে ফারাক্কা চুক্তি স্বাক্ষরিত
প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আমলেই প্রথম ভারতের সাথে ফারাক্কা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় । ঢাকায় ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে ৫ বছরের জন্য ফারাক্কা পানি চুক্তি সাক্ষরিত হয় । বিগত ২৫ বছর ধরে এই বিষয়টি নিয়ে দু’দেশের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিলো। ভারতে মোরারজি দেশাই ক্ষমতার আসার পর শহীদ জিয়ার শক্তিশালী কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় বিশেষজ্ঞ ও মন্ত্রিসভা স্তরে একাধিক বৈঠকের পর ফারাক্কায় গঙ্গার পানি ভাগাভাগির বিষয়ে গ্যারান্টি ক্লজ সম্বলিত একটি পাঁচ বছরের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল ১৯৭৭ সালের ডিসেম্বরে। তাছাড়া মোরারজি দেশাই যখন ১৯৭৯ সালের এপ্রিলের ১৬-১৮ তারিখে বাংলাদেশ সফর করেন তখন দুই দেশ ওই
সময় বাংলাদেশের জন্য গঙ্গা থেকে সেচের জন্য পানি বরাদ্দ সংক্রান্ত একটি যৌথ নদী কমিশন গঠনের বিষয়ে একমত হয়েছিল।
৪.
১৯৭৭ সালে সার্ক (SAARC) গঠনের উদ্যোগ
রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান দক্ষিণ এশিয়ার দেশসমূহের নেতাদের কাছে এই অঞ্চলের ভবিষ্যতের জন্য তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি একটি সরকারি চিঠির মাধ্যমে উপস্থাপন করেছিলেন। ১৯৭৭ সালের ডিসেম্বরে ভারত সফরকালে জিয়াউর রহমান ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোরারজি দেশাইয়ের সাথে আঞ্চলিক সহযোগিতার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন। আফগানিস্তানে USSR এর হস্তক্ষেপের পরে ১৯৭৯ সালে এই সহযোগীতা সংস্থা প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা ত্বরান্বিত হয় এবং ফলস্বরূপ দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি ঘটে। জিয়াউর রহমানের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে ১৯৮১ সালের এপ্রিল মাসে সাত দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা প্রথমবারের মতো কলম্বোতে বৈঠক করেন।
বাংলাদেশের প্রস্তাবটি তাত্ক্ষণিকভাবে নেপাল, শ্রীলঙ্কা, ভুটান এবং মালদ্বীপ গ্রহণ করেছিল তবে ভারত ও পাকিস্তান প্রথমে সন্দেহজনক ছিল।
ভারতীয় উদ্বেগটি দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা সম্পর্কিত বিষয়গুলির প্রস্তাবের রেফারেন্স ছিল এবং আশঙ্কা করেছিল যে আঞ্চলিক সংস্থার জন্য জিয়াউর রহমানের প্রস্তাবটি ছোট
প্রতিবেশীদের সমস্ত দ্বিপক্ষীয় বিষয়কে নতুন করে আন্তর্জাতিক করার এবং একে অপরের সাথে ভারতের বিরোধীতা তৈরির সুযোগ দেওয়ার সুযোগ দিতে পারে ।
পাকিস্তান ধরে নিয়েছিল যে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলিকে সংগঠিত করা এবং ভারতীয় পণ্যগুলির জন্য একটি আঞ্চলিক বাজার নিশ্চিত করার এটি
ভারতীয় একটি কৌশল হতে পারে, যার ফলে এই অঞ্চলে ভারতের অর্থনৈতিক আধিপত্যকে সুসংহত ও আরও জোরদার করা হবে।
তবে ১৯৭৯ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত নিউ ইয়র্কের জাতিসংঘ সদর দফতরে দক্ষিণ এশীয় জাতিসংঘের প্রতিনিধিদের মধ্যে বাংলাদেশের নেতৃত্বে একাধিক কূটনৈ
তিক পরামর্শের পরে একমত হয়েছিল যে পররাষ্ট্র সচিবদের মধ্যে আলোচনার জন্য বাংলাদেশ একটি কার্যপত্রকের খসড়া প্রস্তুত করবে।
সেই মোতাবেক কাজ হলেও রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর এর গতি একটি কমে যায়।
তারপরেও দক্ষিণ এশিয়ার দেশসমূহ সাতটি দেশের পররাষ্ট্র সচিবরা ১৯৮১ সালের সেপ্টেম্বরে আবার কলম্বোতে আলোচনা করে দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক সহযোগিতার জন্য
পাঁচটি বিস্তৃত অঞ্চল চিহ্নিত করেছিল এবং পরবর্তীতে আরো আলোচনার পর এগুতে এগুতে ১৯৮৫ সালের ৭-৮ ডিসেম্বর ঢাকায় এক সম্মেলনের মধ্য দিয়ে শহীদ রাষ্ট্রপতি জি
য়ার রহমানের স্বপ্ন দক্ষিণ এশিয়া আঞ্চলিক সহযোগীতা সংস্থা -(South Asian Association for Regional C0-0peration – SAARC) বা সার্ক আনুষ্ঠানিকভাবে এর যাত্রা
৫.
১৯৭৭ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল এর সদস্য হয়
বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল এর সদস্য হয় । ১৯৭৬ সালে ঘরোয়া মৌসুম শেষ হওয়ার পরে বাংলাদেশ ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি
রেজা-এ-করিম বিসিসিবির প্রথম সংবিধানের খসড়া তৈরি করেন এবং ১৯৭৬ সালের মে মাসে ইংল্যান্ডের ম্যারিলবন ক্রিকেট ক্লাব (এমসিসি) কে বাংলাদেশে আমন্ত্রণ জানান।
এমসিসি ১৯৭৬ সালের ২৭ ডিসেম্বর তাদের প্রথম বাংলাদেশ সফরে ঢাকায় পৌঁছে।
১৯৭৭ সালের ৭ জানুয়ারী জিয়াউর রহমানের আমলে বাংলাদেশে ক্রিকেটের জন্ম হয় বলা চলে কারণ ঐদিনই বাংলাদেশ মেরিলবোর্ন ক্রিকেট ক্লাবের (এমসিসি) বিপক্ষে প্রথম ক্রি
কেট খেলতে নামে। প্রয়াত শামীম কবীর ছিলেন এর অধিনায়ক এবং রকিবুল হাসান ছিলেন সহ-অধিনায়ক। ২৬ জুলাই, ১৯৭৭ বাংলাদেশ আই.সি.সি. এর সহযোগী সদস্য হন। তখন বাংলাদেশ ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিবি) ম্যারিলবন ক্রিকেট ক্লাব (এমসিসির) কাছ থেকে কোচিংয়ের সহায়তা চায়।
এমসিসি তখন রবার্ট জোন্স নামে প্রথম বিদেশী একজন ইংরেজ ক্রিকেট কোচ কে বাংলাদেশ পাঠায়।
তাছাড়া, ১৯৭৯ সালে জিয়াউর রহমানের সময়ে বাংলাদেশ প্রথম আইসিসি ট্রফি খেলে। প্রেসিডেন্ট জিয়া ক্রিকেটের এই শুরুটাকে খুব গুরুত্ব সহকারে সহায়তা করেছিলেন।
☞ সফরের বিস্তারিত বিবরন
#
তারিখ
বিস্তারিত
১.
১৯৭৬ সালে বাংলাদেশ-নেপালের মধ্যে ট্রানজিট চুক্তি
জিয়াউর রহমানের আমলে বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে ট্রানজিট চুক্তি হয় যার ফলে নেপাল বাংলাদেশের মংলা বন্দর ব্যবহার করে ভারতের উপর দিয়ে পণ্য আমদানি করবে। ওই চুক্তিতে বাংলাদেশের “বিরল” ও নেপালের রাধিকাপুর সহ ট্রানজিট পয়েন্ট হিসাবে ৬ টি রুট কে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল।এতে নেপালের পণ্য পরিবহনের ব্যয় কমার পাশাপাশি মংলা বন্দর ব্যবহারের চার্জ ও মাশুল ছাড়াও বাংলাদেশের ট্রানজিট পয়েন্ট অর্থাৎ “বিরল” পর্যন্ত দেশীয় যান ব্যবহার করে নেপালি পণ্য পরিবহন
২.
১৯৭৭ সালে বিদেশী বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্য বহুপাক্ষিক চুক্তি
বিদেশী বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্য জিয়াউর রহমান-ই প্রথম ১৯৭৭ সালে ILO Tripartite Declaration on Multinational Enterprises বহুপাক্ষিক চুক্তি সাক্ষর করেন। বিদেশী বিনিয়োগকারীদের তাদের বিনিয়োগে স্বস্তি প্রদানের ক্ষেত্রে এই চুক্তি ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রথম ধাপ সূত্র: বিডা হ্যান্ডবুক
৩.
ডিসেম্বর, ১৯৭৭ সালে ভারতের সাথে ফারাক্কা চুক্তি স্বাক্ষরিত
প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আমলেই প্রথম ভারতের সাথে ফারাক্কা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় । ঢাকায় ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে ৫ বছরের জন্য ফারাক্কা পানি চুক্তি সাক্ষরিত হয় । বিগত ২৫ বছর ধরে এই বিষয়টি নিয়ে দু’দেশের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিলো। ভারতে মোরারজি দেশাই ক্ষমতার আসার পর শহীদ জিয়ার শক্তিশালী কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় বিশেষজ্ঞ ও মন্ত্রিসভা স্তরে একাধিক বৈঠকের পর ফারাক্কায় গঙ্গার পানি ভাগাভাগির বিষয়ে গ্যারান্টি ক্লজ সম্বলিত একটি পাঁচ বছরের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল ১৯৭৭ সালের ডিসেম্বরে। তাছাড়া মোরারজি দেশাই যখন ১৯৭৯ সালের এপ্রিলের ১৬-১৮ তারিখে বাংলাদেশ সফর করেন তখন দুই দেশ ওই
সময় বাংলাদেশের জন্য গঙ্গা থেকে সেচের জন্য পানি বরাদ্দ সংক্রান্ত একটি যৌথ নদী কমিশন গঠনের বিষয়ে একমত হয়েছিল।
৪.
১৯৭৭ সালে সার্ক (SAARC) গঠনের উদ্যোগ
রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান দক্ষিণ এশিয়ার দেশসমূহের নেতাদের কাছে এই অঞ্চলের ভবিষ্যতের জন্য তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি একটি সরকারি চিঠির মাধ্যমে উপস্থাপন করেছিলেন। ১৯৭৭ সালের ডিসেম্বরে ভারত সফরকালে জিয়াউর রহমান ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোরারজি দেশাইয়ের সাথে আঞ্চলিক সহযোগিতার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন। আফগানিস্তানে USSR এর হস্তক্ষেপের পরে ১৯৭৯ সালে এই সহযোগীতা সংস্থা প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা ত্বরান্বিত হয় এবং ফলস্বরূপ দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি ঘটে। জিয়াউর রহমানের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে ১৯৮১ সালের এপ্রিল মাসে সাত দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা প্রথমবারের মতো কলম্বোতে বৈঠক করেন।
বাংলাদেশের প্রস্তাবটি তাত্ক্ষণিকভাবে নেপাল, শ্রীলঙ্কা, ভুটান এবং মালদ্বীপ গ্রহণ করেছিল তবে ভারত ও পাকিস্তান প্রথমে সন্দেহজনক ছিল।
ভারতীয় উদ্বেগটি দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা সম্পর্কিত বিষয়গুলির প্রস্তাবের রেফারেন্স ছিল এবং আশঙ্কা করেছিল যে আঞ্চলিক সংস্থার জন্য জিয়াউর রহমানের প্রস্তাবটি ছোট
প্রতিবেশীদের সমস্ত দ্বিপক্ষীয় বিষয়কে নতুন করে আন্তর্জাতিক করার এবং একে অপরের সাথে ভারতের বিরোধীতা তৈরির সুযোগ দেওয়ার সুযোগ দিতে পারে ।
পাকিস্তান ধরে নিয়েছিল যে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলিকে সংগঠিত করা এবং ভারতীয় পণ্যগুলির জন্য একটি আঞ্চলিক বাজার নিশ্চিত করার এটি
ভারতীয় একটি কৌশল হতে পারে, যার ফলে এই অঞ্চলে ভারতের অর্থনৈতিক আধিপত্যকে সুসংহত ও আরও জোরদার করা হবে।
তবে ১৯৭৯ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত নিউ ইয়র্কের জাতিসংঘ সদর দফতরে দক্ষিণ এশীয় জাতিসংঘের প্রতিনিধিদের মধ্যে বাংলাদেশের নেতৃত্বে একাধিক কূটনৈ
তিক পরামর্শের পরে একমত হয়েছিল যে পররাষ্ট্র সচিবদের মধ্যে আলোচনার জন্য বাংলাদেশ একটি কার্যপত্রকের খসড়া প্রস্তুত করবে।
সেই মোতাবেক কাজ হলেও রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর এর গতি একটি কমে যায়।
তারপরেও দক্ষিণ এশিয়ার দেশসমূহ সাতটি দেশের পররাষ্ট্র সচিবরা ১৯৮১ সালের সেপ্টেম্বরে আবার কলম্বোতে আলোচনা করে দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক সহযোগিতার জন্য
পাঁচটি বিস্তৃত অঞ্চল চিহ্নিত করেছিল এবং পরবর্তীতে আরো আলোচনার পর এগুতে এগুতে ১৯৮৫ সালের ৭-৮ ডিসেম্বর ঢাকায় এক সম্মেলনের মধ্য দিয়ে শহীদ রাষ্ট্রপতি জি
য়ার রহমানের স্বপ্ন দক্ষিণ এশিয়া আঞ্চলিক সহযোগীতা সংস্থা -(South Asian Association for Regional C0-0peration – SAARC) বা সার্ক আনুষ্ঠানিকভাবে এর যাত্রা
৫.
১৯৭৭ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল এর সদস্য হয়
বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল এর সদস্য হয় । ১৯৭৬ সালে ঘরোয়া মৌসুম শেষ হওয়ার পরে বাংলাদেশ ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি
রেজা-এ-করিম বিসিসিবির প্রথম সংবিধানের খসড়া তৈরি করেন এবং ১৯৭৬ সালের মে মাসে ইংল্যান্ডের ম্যারিলবন ক্রিকেট ক্লাব (এমসিসি) কে বাংলাদেশে আমন্ত্রণ জানান।
এমসিসি ১৯৭৬ সালের ২৭ ডিসেম্বর তাদের প্রথম বাংলাদেশ সফরে ঢাকায় পৌঁছে।
১৯৭৭ সালের ৭ জানুয়ারী জিয়াউর রহমানের আমলে বাংলাদেশে ক্রিকেটের জন্ম হয় বলা চলে কারণ ঐদিনই বাংলাদেশ মেরিলবোর্ন ক্রিকেট ক্লাবের (এমসিসি) বিপক্ষে প্রথম ক্রি
কেট খেলতে নামে। প্রয়াত শামীম কবীর ছিলেন এর অধিনায়ক এবং রকিবুল হাসান ছিলেন সহ-অধিনায়ক। ২৬ জুলাই, ১৯৭৭ বাংলাদেশ আই.সি.সি. এর সহযোগী সদস্য হন। তখন বাংলাদেশ ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিবি) ম্যারিলবন ক্রিকেট ক্লাব (এমসিসির) কাছ থেকে কোচিংয়ের সহায়তা চায়।
এমসিসি তখন রবার্ট জোন্স নামে প্রথম বিদেশী একজন ইংরেজ ক্রিকেট কোচ কে বাংলাদেশ পাঠায়।
তাছাড়া, ১৯৭৯ সালে জিয়াউর রহমানের সময়ে বাংলাদেশ প্রথম আইসিসি ট্রফি খেলে। প্রেসিডেন্ট জিয়া ক্রিকেটের এই শুরুটাকে খুব গুরুত্ব সহকারে সহায়তা করেছিলেন।
☞ জিয়াউর রহমানের আমলে আন্তর্জাতিক নেতৃবৃন্ধের বাংলাদেশ আগমন
#
তারিখ
বিস্তারিত
১.
১৯৭৬ সালে বাংলাদেশ-নেপালের মধ্যে ট্রানজিট চুক্তি
জিয়াউর রহমানের আমলে বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে ট্রানজিট চুক্তি হয় যার ফলে নেপাল বাংলাদেশের মংলা বন্দর ব্যবহার করে ভারতের উপর দিয়ে পণ্য আমদানি করবে। ওই চুক্তিতে বাংলাদেশের “বিরল” ও নেপালের রাধিকাপুর সহ ট্রানজিট পয়েন্ট হিসাবে ৬ টি রুট কে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল।এতে নেপালের পণ্য পরিবহনের ব্যয় কমার পাশাপাশি মংলা বন্দর ব্যবহারের চার্জ ও মাশুল ছাড়াও বাংলাদেশের ট্রানজিট পয়েন্ট অর্থাৎ “বিরল” পর্যন্ত দেশীয় যান ব্যবহার করে নেপালি পণ্য পরিবহন
২.
১৯৭৭ সালে বিদেশী বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্য বহুপাক্ষিক চুক্তি
বিদেশী বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্য জিয়াউর রহমান-ই প্রথম ১৯৭৭ সালে ILO Tripartite Declaration on Multinational Enterprises বহুপাক্ষিক চুক্তি সাক্ষর করেন। বিদেশী বিনিয়োগকারীদের তাদের বিনিয়োগে স্বস্তি প্রদানের ক্ষেত্রে এই চুক্তি ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রথম ধাপ সূত্র: বিডা হ্যান্ডবুক
৩.
ডিসেম্বর, ১৯৭৭ সালে ভারতের সাথে ফারাক্কা চুক্তি স্বাক্ষরিত
প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আমলেই প্রথম ভারতের সাথে ফারাক্কা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় । ঢাকায় ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে ৫ বছরের জন্য ফারাক্কা পানি চুক্তি সাক্ষরিত হয় । বিগত ২৫ বছর ধরে এই বিষয়টি নিয়ে দু’দেশের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিলো। ভারতে মোরারজি দেশাই ক্ষমতার আসার পর শহীদ জিয়ার শক্তিশালী কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় বিশেষজ্ঞ ও মন্ত্রিসভা স্তরে একাধিক বৈঠকের পর ফারাক্কায় গঙ্গার পানি ভাগাভাগির বিষয়ে গ্যারান্টি ক্লজ সম্বলিত একটি পাঁচ বছরের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল ১৯৭৭ সালের ডিসেম্বরে। তাছাড়া মোরারজি দেশাই যখন ১৯৭৯ সালের এপ্রিলের ১৬-১৮ তারিখে বাংলাদেশ সফর করেন তখন দুই দেশ ওই
সময় বাংলাদেশের জন্য গঙ্গা থেকে সেচের জন্য পানি বরাদ্দ সংক্রান্ত একটি যৌথ নদী কমিশন গঠনের বিষয়ে একমত হয়েছিল।
৪.
১৯৭৭ সালে সার্ক (SAARC) গঠনের উদ্যোগ
রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান দক্ষিণ এশিয়ার দেশসমূহের নেতাদের কাছে এই অঞ্চলের ভবিষ্যতের জন্য তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি একটি সরকারি চিঠির মাধ্যমে উপস্থাপন করেছিলেন। ১৯৭৭ সালের ডিসেম্বরে ভারত সফরকালে জিয়াউর রহমান ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোরারজি দেশাইয়ের সাথে আঞ্চলিক সহযোগিতার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন। আফগানিস্তানে USSR এর হস্তক্ষেপের পরে ১৯৭৯ সালে এই সহযোগীতা সংস্থা প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা ত্বরান্বিত হয় এবং ফলস্বরূপ দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি ঘটে। জিয়াউর রহমানের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে ১৯৮১ সালের এপ্রিল মাসে সাত দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা প্রথমবারের মতো কলম্বোতে বৈঠক করেন।
বাংলাদেশের প্রস্তাবটি তাত্ক্ষণিকভাবে নেপাল, শ্রীলঙ্কা, ভুটান এবং মালদ্বীপ গ্রহণ করেছিল তবে ভারত ও পাকিস্তান প্রথমে সন্দেহজনক ছিল।
ভারতীয় উদ্বেগটি দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা সম্পর্কিত বিষয়গুলির প্রস্তাবের রেফারেন্স ছিল এবং আশঙ্কা করেছিল যে আঞ্চলিক সংস্থার জন্য জিয়াউর রহমানের প্রস্তাবটি ছোট
প্রতিবেশীদের সমস্ত দ্বিপক্ষীয় বিষয়কে নতুন করে আন্তর্জাতিক করার এবং একে অপরের সাথে ভারতের বিরোধীতা তৈরির সুযোগ দেওয়ার সুযোগ দিতে পারে ।
পাকিস্তান ধরে নিয়েছিল যে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলিকে সংগঠিত করা এবং ভারতীয় পণ্যগুলির জন্য একটি আঞ্চলিক বাজার নিশ্চিত করার এটি
ভারতীয় একটি কৌশল হতে পারে, যার ফলে এই অঞ্চলে ভারতের অর্থনৈতিক আধিপত্যকে সুসংহত ও আরও জোরদার করা হবে।
তবে ১৯৭৯ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত নিউ ইয়র্কের জাতিসংঘ সদর দফতরে দক্ষিণ এশীয় জাতিসংঘের প্রতিনিধিদের মধ্যে বাংলাদেশের নেতৃত্বে একাধিক কূটনৈ
তিক পরামর্শের পরে একমত হয়েছিল যে পররাষ্ট্র সচিবদের মধ্যে আলোচনার জন্য বাংলাদেশ একটি কার্যপত্রকের খসড়া প্রস্তুত করবে।
সেই মোতাবেক কাজ হলেও রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর এর গতি একটি কমে যায়।
তারপরেও দক্ষিণ এশিয়ার দেশসমূহ সাতটি দেশের পররাষ্ট্র সচিবরা ১৯৮১ সালের সেপ্টেম্বরে আবার কলম্বোতে আলোচনা করে দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক সহযোগিতার জন্য
পাঁচটি বিস্তৃত অঞ্চল চিহ্নিত করেছিল এবং পরবর্তীতে আরো আলোচনার পর এগুতে এগুতে ১৯৮৫ সালের ৭-৮ ডিসেম্বর ঢাকায় এক সম্মেলনের মধ্য দিয়ে শহীদ রাষ্ট্রপতি জি
য়ার রহমানের স্বপ্ন দক্ষিণ এশিয়া আঞ্চলিক সহযোগীতা সংস্থা -(South Asian Association for Regional C0-0peration – SAARC) বা সার্ক আনুষ্ঠানিকভাবে এর যাত্রা
৫.
১৯৭৭ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল এর সদস্য হয়
বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল এর সদস্য হয় । ১৯৭৬ সালে ঘরোয়া মৌসুম শেষ হওয়ার পরে বাংলাদেশ ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি
রেজা-এ-করিম বিসিসিবির প্রথম সংবিধানের খসড়া তৈরি করেন এবং ১৯৭৬ সালের মে মাসে ইংল্যান্ডের ম্যারিলবন ক্রিকেট ক্লাব (এমসিসি) কে বাংলাদেশে আমন্ত্রণ জানান।
এমসিসি ১৯৭৬ সালের ২৭ ডিসেম্বর তাদের প্রথম বাংলাদেশ সফরে ঢাকায় পৌঁছে।
১৯৭৭ সালের ৭ জানুয়ারী জিয়াউর রহমানের আমলে বাংলাদেশে ক্রিকেটের জন্ম হয় বলা চলে কারণ ঐদিনই বাংলাদেশ মেরিলবোর্ন ক্রিকেট ক্লাবের (এমসিসি) বিপক্ষে প্রথম ক্রি
কেট খেলতে নামে। প্রয়াত শামীম কবীর ছিলেন এর অধিনায়ক এবং রকিবুল হাসান ছিলেন সহ-অধিনায়ক। ২৬ জুলাই, ১৯৭৭ বাংলাদেশ আই.সি.সি. এর সহযোগী সদস্য হন। তখন বাংলাদেশ ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিবি) ম্যারিলবন ক্রিকেট ক্লাব (এমসিসির) কাছ থেকে কোচিংয়ের সহায়তা চায়।
এমসিসি তখন রবার্ট জোন্স নামে প্রথম বিদেশী একজন ইংরেজ ক্রিকেট কোচ কে বাংলাদেশ পাঠায়।
তাছাড়া, ১৯৭৯ সালে জিয়াউর রহমানের সময়ে বাংলাদেশ প্রথম আইসিসি ট্রফি খেলে। প্রেসিডেন্ট জিয়া ক্রিকেটের এই শুরুটাকে খুব গুরুত্ব সহকারে সহায়তা করেছিলেন।
☞ আগমনের বিস্তারিত বিবরন
#
তারিখ
বিস্তারিত
১.
১৯৭৬ সালে বাংলাদেশ-নেপালের মধ্যে ট্রানজিট চুক্তি
জিয়াউর রহমানের আমলে বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে ট্রানজিট চুক্তি হয় যার ফলে নেপাল বাংলাদেশের মংলা বন্দর ব্যবহার করে ভারতের উপর দিয়ে পণ্য আমদানি করবে। ওই চুক্তিতে বাংলাদেশের “বিরল” ও নেপালের রাধিকাপুর সহ ট্রানজিট পয়েন্ট হিসাবে ৬ টি রুট কে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল।এতে নেপালের পণ্য পরিবহনের ব্যয় কমার পাশাপাশি মংলা বন্দর ব্যবহারের চার্জ ও মাশুল ছাড়াও বাংলাদেশের ট্রানজিট পয়েন্ট অর্থাৎ “বিরল” পর্যন্ত দেশীয় যান ব্যবহার করে নেপালি পণ্য পরিবহন
২.
১৯৭৭ সালে বিদেশী বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্য বহুপাক্ষিক চুক্তি
বিদেশী বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্য জিয়াউর রহমান-ই প্রথম ১৯৭৭ সালে ILO Tripartite Declaration on Multinational Enterprises বহুপাক্ষিক চুক্তি সাক্ষর করেন। বিদেশী বিনিয়োগকারীদের তাদের বিনিয়োগে স্বস্তি প্রদানের ক্ষেত্রে এই চুক্তি ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রথম ধাপ সূত্র: বিডা হ্যান্ডবুক
৩.
ডিসেম্বর, ১৯৭৭ সালে ভারতের সাথে ফারাক্কা চুক্তি স্বাক্ষরিত
প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আমলেই প্রথম ভারতের সাথে ফারাক্কা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় । ঢাকায় ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে ৫ বছরের জন্য ফারাক্কা পানি চুক্তি সাক্ষরিত হয় । বিগত ২৫ বছর ধরে এই বিষয়টি নিয়ে দু’দেশের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিলো। ভারতে মোরারজি দেশাই ক্ষমতার আসার পর শহীদ জিয়ার শক্তিশালী কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় বিশেষজ্ঞ ও মন্ত্রিসভা স্তরে একাধিক বৈঠকের পর ফারাক্কায় গঙ্গার পানি ভাগাভাগির বিষয়ে গ্যারান্টি ক্লজ সম্বলিত একটি পাঁচ বছরের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল ১৯৭৭ সালের ডিসেম্বরে। তাছাড়া মোরারজি দেশাই যখন ১৯৭৯ সালের এপ্রিলের ১৬-১৮ তারিখে বাংলাদেশ সফর করেন তখন দুই দেশ ওই
সময় বাংলাদেশের জন্য গঙ্গা থেকে সেচের জন্য পানি বরাদ্দ সংক্রান্ত একটি যৌথ নদী কমিশন গঠনের বিষয়ে একমত হয়েছিল।
৪.
১৯৭৭ সালে সার্ক (SAARC) গঠনের উদ্যোগ
রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান দক্ষিণ এশিয়ার দেশসমূহের নেতাদের কাছে এই অঞ্চলের ভবিষ্যতের জন্য তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি একটি সরকারি চিঠির মাধ্যমে উপস্থাপন করেছিলেন। ১৯৭৭ সালের ডিসেম্বরে ভারত সফরকালে জিয়াউর রহমান ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোরারজি দেশাইয়ের সাথে আঞ্চলিক সহযোগিতার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন। আফগানিস্তানে USSR এর হস্তক্ষেপের পরে ১৯৭৯ সালে এই সহযোগীতা সংস্থা প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা ত্বরান্বিত হয় এবং ফলস্বরূপ দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি ঘটে। জিয়াউর রহমানের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে ১৯৮১ সালের এপ্রিল মাসে সাত দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা প্রথমবারের মতো কলম্বোতে বৈঠক করেন।
বাংলাদেশের প্রস্তাবটি তাত্ক্ষণিকভাবে নেপাল, শ্রীলঙ্কা, ভুটান এবং মালদ্বীপ গ্রহণ করেছিল তবে ভারত ও পাকিস্তান প্রথমে সন্দেহজনক ছিল।
ভারতীয় উদ্বেগটি দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা সম্পর্কিত বিষয়গুলির প্রস্তাবের রেফারেন্স ছিল এবং আশঙ্কা করেছিল যে আঞ্চলিক সংস্থার জন্য জিয়াউর রহমানের প্রস্তাবটি ছোট
প্রতিবেশীদের সমস্ত দ্বিপক্ষীয় বিষয়কে নতুন করে আন্তর্জাতিক করার এবং একে অপরের সাথে ভারতের বিরোধীতা তৈরির সুযোগ দেওয়ার সুযোগ দিতে পারে ।
পাকিস্তান ধরে নিয়েছিল যে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলিকে সংগঠিত করা এবং ভারতীয় পণ্যগুলির জন্য একটি আঞ্চলিক বাজার নিশ্চিত করার এটি
ভারতীয় একটি কৌশল হতে পারে, যার ফলে এই অঞ্চলে ভারতের অর্থনৈতিক আধিপত্যকে সুসংহত ও আরও জোরদার করা হবে।
তবে ১৯৭৯ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত নিউ ইয়র্কের জাতিসংঘ সদর দফতরে দক্ষিণ এশীয় জাতিসংঘের প্রতিনিধিদের মধ্যে বাংলাদেশের নেতৃত্বে একাধিক কূটনৈ
তিক পরামর্শের পরে একমত হয়েছিল যে পররাষ্ট্র সচিবদের মধ্যে আলোচনার জন্য বাংলাদেশ একটি কার্যপত্রকের খসড়া প্রস্তুত করবে।
সেই মোতাবেক কাজ হলেও রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর এর গতি একটি কমে যায়।
তারপরেও দক্ষিণ এশিয়ার দেশসমূহ সাতটি দেশের পররাষ্ট্র সচিবরা ১৯৮১ সালের সেপ্টেম্বরে আবার কলম্বোতে আলোচনা করে দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক সহযোগিতার জন্য
পাঁচটি বিস্তৃত অঞ্চল চিহ্নিত করেছিল এবং পরবর্তীতে আরো আলোচনার পর এগুতে এগুতে ১৯৮৫ সালের ৭-৮ ডিসেম্বর ঢাকায় এক সম্মেলনের মধ্য দিয়ে শহীদ রাষ্ট্রপতি জি
য়ার রহমানের স্বপ্ন দক্ষিণ এশিয়া আঞ্চলিক সহযোগীতা সংস্থা -(South Asian Association for Regional C0-0peration – SAARC) বা সার্ক আনুষ্ঠানিকভাবে এর যাত্রা
৫.
১৯৭৭ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল এর সদস্য হয়
বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল এর সদস্য হয় । ১৯৭৬ সালে ঘরোয়া মৌসুম শেষ হওয়ার পরে বাংলাদেশ ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি
রেজা-এ-করিম বিসিসিবির প্রথম সংবিধানের খসড়া তৈরি করেন এবং ১৯৭৬ সালের মে মাসে ইংল্যান্ডের ম্যারিলবন ক্রিকেট ক্লাব (এমসিসি) কে বাংলাদেশে আমন্ত্রণ জানান।
এমসিসি ১৯৭৬ সালের ২৭ ডিসেম্বর তাদের প্রথম বাংলাদেশ সফরে ঢাকায় পৌঁছে।
১৯৭৭ সালের ৭ জানুয়ারী জিয়াউর রহমানের আমলে বাংলাদেশে ক্রিকেটের জন্ম হয় বলা চলে কারণ ঐদিনই বাংলাদেশ মেরিলবোর্ন ক্রিকেট ক্লাবের (এমসিসি) বিপক্ষে প্রথম ক্রি
কেট খেলতে নামে। প্রয়াত শামীম কবীর ছিলেন এর অধিনায়ক এবং রকিবুল হাসান ছিলেন সহ-অধিনায়ক। ২৬ জুলাই, ১৯৭৭ বাংলাদেশ আই.সি.সি. এর সহযোগী সদস্য হন। তখন বাংলাদেশ ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিবি) ম্যারিলবন ক্রিকেট ক্লাব (এমসিসির) কাছ থেকে কোচিংয়ের সহায়তা চায়।
এমসিসি তখন রবার্ট জোন্স নামে প্রথম বিদেশী একজন ইংরেজ ক্রিকেট কোচ কে বাংলাদেশ পাঠায়।
তাছাড়া, ১৯৭৯ সালে জিয়াউর রহমানের সময়ে বাংলাদেশ প্রথম আইসিসি ট্রফি খেলে। প্রেসিডেন্ট জিয়া ক্রিকেটের এই শুরুটাকে খুব গুরুত্ব সহকারে সহায়তা করেছিলেন।